প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের প্রতিবেদন Sukdepur S. C. High School Magazine "Uttaran" part-1 Year-2006
প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের প্রতিবেদন (২০০৬)
শ্রী গিরিন কৃষ্ণ দাসপ্রধান শিক্ষক
Girin Krishna Das, Headmaster |
দীর্ঘদিন বিদ্যালয় গর্ভে ঘুমিয়ে থাকার পর পলাশ, শিমূল, কাঞ্চনের গন্ধ মাখানো নব বসন্তের উষ্ণ স্পর্শে আত্ম প্রকাশিত হল "উত্তরণ"। বিকশিত হল কচিকাঁচাদের অ, আ, ক, খ। কালির আচড়ে ভরে উঠল উত্তরণের পাতাগুলি।
বিদ্যালয়ে যোগদানের পর যখন শুনেছিলাম বিদ্যালয় পত্রিকা প্রকাশিত হয় না তখন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের মনের ভাবনার প্রতিফলনের বীজ যাতে অঙ্কুরিত হওয়ার সুযোগ পায় তার জন্য ছিলাম বদ্ধপরিকর। আর্থিক সংকট, পাঠ্যক্রমের বিরামহীন ফাঁস, পরিকাঠামোগত সমস্যা, প্রভৃতি প্রতিবন্ধকতা "উত্তরণের" আত্মপ্রকাশকে আরো বিলম্বিত করেছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাঁচা হাতের সাজানো নৈবেদ্য অভিভাবক ও অসংখ্য হিতৈষীজনের কাছে সময়মত পৌঁছে দিতে না পারার জন্য আমরা দুঃখিত।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি প্রয়াত হরমোহন রায় মহাশয় এতদ্ অঞ্চলের জনসাধারণের শিক্ষার জন্য যে দীপ জ্বালিয়েছিলেন তার শিখাকে দীপ্তিমান করার জন্য, দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই পঠন-পাঠনের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা এই দুইটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ে নবনব পালক (২০০৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ২০০৬ সালে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন) সংযোজিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন সমস্যা। সেই উদ্ভূত সমস্যাকে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতির সুপরামর্শে সমাধানের চেষ্টা করে চলেছি। শিক্ষক, শিক্ষিকাগণের নিরলস প্রয়াসের ফলে পঠন-পাঠন, খেলা- ধূলা, সংস্কৃতি চর্চা প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটেছে। এই উত্তরণের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
পরিশেষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য ব্যক্তিগণ যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এই পত্রিকাটির প্রকাশ সম্ভব হল তাদের জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। কামনা করি "উত্তরণের" শুভ যাত্রা।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteDarun ekti experience... sir apnak amr pronam ebong srodha.
ReplyDeleteNice
ReplyDelete